১. মার্টি ফ্রাইড ম্যানঃ মেগাডেথ ব্যান্ডের গীটারিষ্ট তিনি। এক সময় কিংবদন্তী জেসন বেকারের সাথে ককোফোনী ব্যান্ডেও ছিলেন।
২. জেসন বেকারঃ ইনি নিও ক্লাসিকের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গীটারিষ্ট ছিলেন যিনি ইভি মালমাস্টিনের “ব্লাক স্টার” সলোটি তার স্কুলের একটি ফাংশনে একটু মোডিফাই করে বাজিয়েছিলেন এবং মালমাষ্টিনকে চিঠি লিখে বলেছিলেন যে, “আপনি আপনার ব্লাক স্টার সলোটি আমার মত মোডিফাই করে বাজালে আরো সুন্দর হত”। জবাবে মালমাষ্টিন তার মোডিফাই করা সলোটি শোনার পর জেসন বেকারকে বলেছিলেন, “তুমি আমার চেয়ে অনেক বড় মাপের গীটারিষ্ট।” সেই জেসন বেকারের দুটো সলো এখানে দেব, যেগুলোকে এ যাবতকালের সলোগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধরা হয়।
৩. দ্যা কোরসঃ এটি গীটার সলো না। এটি কিংবদন্তী আইরিস ব্যান্ড “দ্যা কোরস” এর তবে ইন্সট্রুমেন্টাল। এর চেয়ে বেশী টাচি কোন মেলোডি হওয়া সম্ভব বলে মনে হয়না। আমি এই ইন্সট্রুমেন্টালটি শুননে চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনা আবেগঘন সময়গুলোতে। আসলেই কিন্তু সৃষ্টি ব্যাখ্যার উর্দ্ধে থাকে।
৪. এরিক জনসনঃ এরিক জনসনের সলো সব সময়ই যুগোপযোগী সলো। এই সলোটি পুরাই চরম একটি মেলোডিক সলো।
৫. গ্যারী মুরঃ যারা মন মাতানো আর স্নিগ্ধ মেলোডির পাগল তাদের জন্য গ্যারী মুরের উপরে কিছু নেই। ব্লুজ গীটারের এক অনন্য শাসক ছিলেন তিনি।
৬. স্লাশঃ যারা কে কি বাজালো তা নিয়ে মাথা ঘামান না তাদের অনেকেও সম্ভবত এই নামটি জানেন। কারণ, ইনি মেলোডির রাজা। চুল দিয়ে চোখ ঢেকে গীটার নামক বস্তুটিকে মিউজিকের যাদুর ছড়ি বানিয়ে ফেলতে তার জুড়ি নেই। তার বেশীর ভাগ সলোই গানের ভেতরে থাকে। তাই আলাদা করে সলোর অংশটার লিংক দেয়া কষ্টকর। সেজন্য আমি তার একটি পূর্নাঙ্গ সলো এবং সাথে তার ব্যান্ডের একটি গানের লিংক দিচ্ছি যেখানে তার সলো পাবেন। গড ফাদার সলোটি এক ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে প্রথম দিকে, কারণ একদম শুরুতেই সে আসল জিনিস বাজাবেনা। ৩.৩০ মিনিট থেকে আসল জিনিস শুরু। এর পর আর শুনতে হবেনা। স্লাসের গীটারই আপনাকে শুনতে বাধ্য করবে। এই সলোটি নকল করেই হিন্দি গান "রাজা কো রানী সে পেয়ার হো গায়া" নামের একটি গান বের করা হয়েছিল। যেটি পুরোনো ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে জনপ্রিয় হয়েছিল বেশ।
৭. ইভি মালমাস্টিনঃ উনার পরিচয় ব্যাখ্যার উর্দ্ধে। গীটার জগতের সম্রাট তিনি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ টেকনিকাল গীটারীষ্টও বলা হয় তাকে। বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়াতে দেখুন। যারা মিউজিশিয়ান না অর্থাৎ যারা শুধুই শ্রোতা তাদের কাছে উনার সলো কতটা ভালো লাগবে সেটা আমি জানিনা কারন সুন্দর মেলোডি আর রিচ মেলোডি দুটো আলাদা ব্যাপার।
৮. অ্যাডরিয়ান স্মিথঃ আয়রন মেইডেনের গীটারিষ্ট তিনি। আয়রন মেইডেনই সম্ভবত একমাত্র ব্যান্ড যারা কোন কিবোর্ড ব্যবহার না করেও মেলোডিকে স্নিগ্ধ এবং সহনীয় রাখতে পারে। অ্যাডরিয়ান স্মিথের মাথা নষ্ট করা একটি সলো পাওয়া যাবে ডান্স অফ ডেথ গানে।
৯. স্টিভ ভাইঃ পোষ্টটি ভাইকে দিয়ে শুরু করলে বোধহয় ভালো হত। তার নামে এখন গীটার দুনিয়ায় সুনামী বয়ে যায়। তার বিখ্যাত সলোর অভাব নেই। তবে সবচেয়ে বিখ্যাত সলোটিই এখানে দিচ্ছি।
১০. জো-সাত্রিয়ানিঃ স্টিভ ভাইয়ের পরের নামটি জো-সাত্রিয়ানিই হতে হবে। এটি চিরন্তন সত্যের পর্যায়ে চলে গেছে। এর ব্যতিক্রম হলে সেটি গ্রহনযোগ্য হবেনা। তাই আমিও সিরিয়াল ব্রেক করলাম না। তবে ইনি প্রথম দিকে গীটারের কিংবদন্তী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার হাত ধরে স্টিভভাই, কার্ক হামিত সহ অনেকেই বড় প্লাটফর্মে এসে দাড়িয়ে বিশ্ব কাপিয়েছেন। তার সবচেয়ে বিস্ময়কর একটি ব্যাপার হল তিনি পা দিয়ে প্রসেসর এবং হাত দিয়ে গীটার দুটো একই সাথে এত দ্রুত কন্ট্রোল করতে পারেন যে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না।
১১. ভিনি মুরঃ নিও ক্লাসিকের সিনিয়র গীটারিষ্টদের মধ্যে ইনি অন্যতম। দারুন সব স্নিগ্ধ মেলোডি বাজান। এখানে যে সলোটি দেব তা আমার সবচেয়ে ভালো লাগা একটি মেলোডি।
১২. রিটচি ব্লাকমোরঃ নিও ক্লাসিকের সবচেয়ে সিনিয়র গীটারিষ্ট তিনি। ডিপ পার্পল, রেইনবোসহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডের লীড গীটারিষ্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে তার ওয়াইফ “নাইট” কে নিয়ে বানিয়েছেন “রিটচি ব্লাকমোরস নাইট” ব্যান্ড।
১৩. ডেভিড গিলমোরঃ পিংক ফ্লোয়েডের গীটার যাদুকর ছিলেন। নতুন করে কিছুই বলার নেই উনাকে নিয়ে। তবে এতটুকুই বলতে হবে, তার সৃষ্টিগুলো ছিল অনেক বেশী অন্য রকম কিছু।
১৪. জিমি হ্যান্ড্রিক্সঃ উনাকে এত নিচে রাখা বোধহয় অন্যায়ই হয়ে গেল। কারণ যে পথ দেখায় সে থাকে সবার আগে (শরীফ মেলামাইনের ডায়লগ)। কিন্তু এখানে পথ দেখিয়েও উনি নিচে রয়ে গেলেন। বাস্তবেও তাই। বর্তমান তরুন প্রজন্ম তার সলো তোলার চেষ্টা খুব কমই করে। অথচ গীটার জগতে তার মত বাজাতে পারে এমন কেউ আজো আসেনি।
১৫. ভ্যান হ্যালেনঃ মাইকেল জ্যাক্সনের “জাষ্ট বিড ইট” গানটার কথা মনে আছে তো? সেই যে বাংলাদেশে রিকশাওয়ালারাও একসময় গাইত “জাষ্ট পিলে,জাষ্ট পিলে,”। সেটাই। সেই গানে ঘুম হারাম করা বিখ্যাত মিউজিকটি মাইকেল জ্যাক্সনের পাশে দাঁড়িয়ে যিনি বাজিয়েছিলেন তিনি “এডি ভ্যান হ্যালেন”।

২. জেসন বেকারঃ ইনি নিও ক্লাসিকের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গীটারিষ্ট ছিলেন যিনি ইভি মালমাস্টিনের “ব্লাক স্টার” সলোটি তার স্কুলের একটি ফাংশনে একটু মোডিফাই করে বাজিয়েছিলেন এবং মালমাষ্টিনকে চিঠি লিখে বলেছিলেন যে, “আপনি আপনার ব্লাক স্টার সলোটি আমার মত মোডিফাই করে বাজালে আরো সুন্দর হত”। জবাবে মালমাষ্টিন তার মোডিফাই করা সলোটি শোনার পর জেসন বেকারকে বলেছিলেন, “তুমি আমার চেয়ে অনেক বড় মাপের গীটারিষ্ট।” সেই জেসন বেকারের দুটো সলো এখানে দেব, যেগুলোকে এ যাবতকালের সলোগুলোর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধরা হয়।

৩. দ্যা কোরসঃ এটি গীটার সলো না। এটি কিংবদন্তী আইরিস ব্যান্ড “দ্যা কোরস” এর তবে ইন্সট্রুমেন্টাল। এর চেয়ে বেশী টাচি কোন মেলোডি হওয়া সম্ভব বলে মনে হয়না। আমি এই ইন্সট্রুমেন্টালটি শুননে চোখের পানি আটকে রাখতে পারিনা আবেগঘন সময়গুলোতে। আসলেই কিন্তু সৃষ্টি ব্যাখ্যার উর্দ্ধে থাকে।

৪. এরিক জনসনঃ এরিক জনসনের সলো সব সময়ই যুগোপযোগী সলো। এই সলোটি পুরাই চরম একটি মেলোডিক সলো।

৫. গ্যারী মুরঃ যারা মন মাতানো আর স্নিগ্ধ মেলোডির পাগল তাদের জন্য গ্যারী মুরের উপরে কিছু নেই। ব্লুজ গীটারের এক অনন্য শাসক ছিলেন তিনি।

৬. স্লাশঃ যারা কে কি বাজালো তা নিয়ে মাথা ঘামান না তাদের অনেকেও সম্ভবত এই নামটি জানেন। কারণ, ইনি মেলোডির রাজা। চুল দিয়ে চোখ ঢেকে গীটার নামক বস্তুটিকে মিউজিকের যাদুর ছড়ি বানিয়ে ফেলতে তার জুড়ি নেই। তার বেশীর ভাগ সলোই গানের ভেতরে থাকে। তাই আলাদা করে সলোর অংশটার লিংক দেয়া কষ্টকর। সেজন্য আমি তার একটি পূর্নাঙ্গ সলো এবং সাথে তার ব্যান্ডের একটি গানের লিংক দিচ্ছি যেখানে তার সলো পাবেন। গড ফাদার সলোটি এক ধৈর্য্য ধরে শুনতে হবে প্রথম দিকে, কারণ একদম শুরুতেই সে আসল জিনিস বাজাবেনা। ৩.৩০ মিনিট থেকে আসল জিনিস শুরু। এর পর আর শুনতে হবেনা। স্লাসের গীটারই আপনাকে শুনতে বাধ্য করবে। এই সলোটি নকল করেই হিন্দি গান "রাজা কো রানী সে পেয়ার হো গায়া" নামের একটি গান বের করা হয়েছিল। যেটি পুরোনো ঢাকার ফুটপাতের দোকানগুলোতে জনপ্রিয় হয়েছিল বেশ।

৭. ইভি মালমাস্টিনঃ উনার পরিচয় ব্যাখ্যার উর্দ্ধে। গীটার জগতের সম্রাট তিনি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ টেকনিকাল গীটারীষ্টও বলা হয় তাকে। বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়াতে দেখুন। যারা মিউজিশিয়ান না অর্থাৎ যারা শুধুই শ্রোতা তাদের কাছে উনার সলো কতটা ভালো লাগবে সেটা আমি জানিনা কারন সুন্দর মেলোডি আর রিচ মেলোডি দুটো আলাদা ব্যাপার।

৮. অ্যাডরিয়ান স্মিথঃ আয়রন মেইডেনের গীটারিষ্ট তিনি। আয়রন মেইডেনই সম্ভবত একমাত্র ব্যান্ড যারা কোন কিবোর্ড ব্যবহার না করেও মেলোডিকে স্নিগ্ধ এবং সহনীয় রাখতে পারে। অ্যাডরিয়ান স্মিথের মাথা নষ্ট করা একটি সলো পাওয়া যাবে ডান্স অফ ডেথ গানে।

৯. স্টিভ ভাইঃ পোষ্টটি ভাইকে দিয়ে শুরু করলে বোধহয় ভালো হত। তার নামে এখন গীটার দুনিয়ায় সুনামী বয়ে যায়। তার বিখ্যাত সলোর অভাব নেই। তবে সবচেয়ে বিখ্যাত সলোটিই এখানে দিচ্ছি।

১০. জো-সাত্রিয়ানিঃ স্টিভ ভাইয়ের পরের নামটি জো-সাত্রিয়ানিই হতে হবে। এটি চিরন্তন সত্যের পর্যায়ে চলে গেছে। এর ব্যতিক্রম হলে সেটি গ্রহনযোগ্য হবেনা। তাই আমিও সিরিয়াল ব্রেক করলাম না। তবে ইনি প্রথম দিকে গীটারের কিংবদন্তী শিক্ষক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার হাত ধরে স্টিভভাই, কার্ক হামিত সহ অনেকেই বড় প্লাটফর্মে এসে দাড়িয়ে বিশ্ব কাপিয়েছেন। তার সবচেয়ে বিস্ময়কর একটি ব্যাপার হল তিনি পা দিয়ে প্রসেসর এবং হাত দিয়ে গীটার দুটো একই সাথে এত দ্রুত কন্ট্রোল করতে পারেন যে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব না।

১১. ভিনি মুরঃ নিও ক্লাসিকের সিনিয়র গীটারিষ্টদের মধ্যে ইনি অন্যতম। দারুন সব স্নিগ্ধ মেলোডি বাজান। এখানে যে সলোটি দেব তা আমার সবচেয়ে ভালো লাগা একটি মেলোডি।

১২. রিটচি ব্লাকমোরঃ নিও ক্লাসিকের সবচেয়ে সিনিয়র গীটারিষ্ট তিনি। ডিপ পার্পল, রেইনবোসহ অনেকগুলো প্রতিষ্ঠিত ব্যান্ডের লীড গীটারিষ্ট হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে তার ওয়াইফ “নাইট” কে নিয়ে বানিয়েছেন “রিটচি ব্লাকমোরস নাইট” ব্যান্ড।

১৩. ডেভিড গিলমোরঃ পিংক ফ্লোয়েডের গীটার যাদুকর ছিলেন। নতুন করে কিছুই বলার নেই উনাকে নিয়ে। তবে এতটুকুই বলতে হবে, তার সৃষ্টিগুলো ছিল অনেক বেশী অন্য রকম কিছু।

১৪. জিমি হ্যান্ড্রিক্সঃ উনাকে এত নিচে রাখা বোধহয় অন্যায়ই হয়ে গেল। কারণ যে পথ দেখায় সে থাকে সবার আগে (শরীফ মেলামাইনের ডায়লগ)। কিন্তু এখানে পথ দেখিয়েও উনি নিচে রয়ে গেলেন। বাস্তবেও তাই। বর্তমান তরুন প্রজন্ম তার সলো তোলার চেষ্টা খুব কমই করে। অথচ গীটার জগতে তার মত বাজাতে পারে এমন কেউ আজো আসেনি।

১৫. ভ্যান হ্যালেনঃ মাইকেল জ্যাক্সনের “জাষ্ট বিড ইট” গানটার কথা মনে আছে তো? সেই যে বাংলাদেশে রিকশাওয়ালারাও একসময় গাইত “জাষ্ট পিলে,জাষ্ট পিলে,”। সেটাই। সেই গানে ঘুম হারাম করা বিখ্যাত মিউজিকটি মাইকেল জ্যাক্সনের পাশে দাঁড়িয়ে যিনি বাজিয়েছিলেন তিনি “এডি ভ্যান হ্যালেন”।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন